রাউজান পৌরসভা যুবলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল হক চৌধুরীকে নগরী থেকে তুলে নিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। আরিফুল হক রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াহেদেরখীল গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগটি করেছেন তার স্ত্রী সৈয়দা হালিমা বেগম ও ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেন চৌধুরী।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করে বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের জালালাবাদ জেএল-৬ এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার কোন হদিশ মেলেনি।
অপহৃত আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী সৈয়দা হালিমা বেগম বলেন, বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় আমার স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। আমার সাথে সর্বশেষ রাত পৌনে ৯টায় কথা হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। অনলাইনেও পাচ্ছিলাম না। আমি আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে রাতে আর সন্ধান পায়নি। পরদিন ভোরে আমার স্বামীর স্মার্টফোনের হোয়াটসএপ নম্বর থেকে আমার মোবাইলে ফোন আসে। রিসিভ করলে আমার স্বামীর পাশে আছেন জানিয়ে অপরিচিত এক ব্যক্তি কথা বলেন।
তিনি আমাকে জানান, আপনার স্বামী বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন, এখন আমার হেফাজতে আছে। কিন্তু আমাকে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। আমি পুনরায় আমার স্বামীর সাথে কথা বলতে চাইলে অন্য এক নম্বরে ফোন করে সংযোগ রেখে আমাকে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। আমার মনে হয়েছে, আমার স্বামী সারাসরি কথা বলেনি। অন্যজনের মোবাইলের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কথা বলেছেন। তারা আমাকে পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার মধ্যে টাকা জোগাড় করতে সময় দেন। টাকা যোগাড় করতে না পারায় পরে দুপুর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ধার-দেনা করে জোগাড় করার কথা জানালে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর আমি চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে নিখোঁজ উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি করে ফিরে আসি।
ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেন চৌধুরী শুক্রবার রাত পর্যন্ত ভাইয়ের কোন খোঁজ পাইনি বলে জানান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, অপহরণের কোন সংবাদ আমরা পাইনি। তবে রাউজানের এক ছেলের নিখোঁজের ডায়রি নেয়া হয়েছে আমাদের থানায়। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ