মনছুর আলম মুন্না (৩৫)। কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ বড়বিলের গর্জনিয়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে। সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। এবার অনিয়ম আর দুর্নীতির সংবাদ ছাপানোর হুমকি দিয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে ‘চাঁদা দাবি’ করে ফেঁসে গেলেন মামলার জালে। এ অভিযোগ চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়ার।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোররাতে কক্সবাজারের সদর এলাকা থেকে মনছুর আলম মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে চকরিয়া থানার একদল পুলিশ। পরে নিয়ে আসা হয় চকরিয়া থানায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর মনছুর আলম মুন্না সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ০১৮১৬-৯৪৬১৫৭ হতে আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে (০১৯১৭-২৪৬৬৪১) বানোয়াট, মিথ্যা এবং অবমাননাকর বিভিন্ন কথা লিখে একটি সংবাদ লিখে পাঠান। এ সংবাদ পত্রিকায় সিরিজ আকারে ছাপানো হবে বলেও জানান। পরবর্তীতে তিনি কৌশলে আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন।
নি বলেন, বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। পরে চাঁদা দাবির ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করি। মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার ভোররাতে কক্সবাজারের সদর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন বলেও জেনেছি। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, পর্নোগ্রাফিসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও এর আগে তিনি র্যাব-১৫ ও কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের হাতে তিনবার গ্রেপ্তার হন।
এ দিকে প্রতিদিনের কাগজ নামের একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে পুলিশের মহা পরিদর্শক ( আইজিপি) বরাবরে অভিযোগ করা হয়েছে চকরিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগে দাবি করা হয় ‘মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে ঘুষ বাণিজ্য চকরিয়া থানার ওসির’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক মনছুর আলম মুন্নাকে ফাঁসানো হয়েছে। এ অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ