চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রাতের আঁধারে আবুল কালাম আজাদ নামক এক জামায়াত কর্মীকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও রগ কেটে মারাত্মক জখম করেছে দুষ্কৃতকারীরা। ঘটনার পর তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াত। তারা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার দিবাগত গভীর রাতে পৌরসভার দক্ষিণ বাইপাস হাসান গোমস্তা মসজিদের সামনে নিজ ফার্মে মুরগির গাড়ি থামিয়ে মুরগি নামানোর সময় পৌরসভা জামায়াত কর্মী আবুল কালাম আজাদকে বাধা দেয় একদল দুষ্কৃতকারী। এখানে ব্যবসা করতে হলে তাদেরকে টাকা দিতে হবে বলে দাবি করে তারা। এতে অস্বীকৃতি জানালে দুষ্কৃতকারীরা তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে শেষে পায়ের রগ কেটে দেয়। ফলে রক্তক্ষরণ ও আঘাতে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে একটি দিঘীর পাড়ে রেখে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে এলাকাবাসী আবুল কালামকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে জামায়াত কর্মীর উপর এমন হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা সোমবার সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ড পৌরসদরে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান উপজেলা জামায়াতের আমীর মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি মোহাম্মদ তাহের, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুব উদ্দিন শিবলী, শিল্প-বাণিজ্য সেক্রেটারি শামছুল হুদা, পৌর আমির হাফেজ আলী আকবর, রবি, রাফি, পেয়ারু আহমেদ, রাসেলসহ প্রমুখ।
উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান এবং সাবেক আমীর মাওলানা তাওহীদুল হক চৌধুরী প্রায় অভিন্ন বক্তব্য রেখে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক জামায়াত নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছে। কিন্তু একটি ঘটনায়ও দোষিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। তাই আবুল কালামের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবর রহমান বলেন, আমরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি। আশা করছি আসামিরা গ্রেপ্তার হবে।
পূর্বকোণ/সৌমিত্র/জেইউ/পারভেজ