চট্টগ্রামের রাউজানে দাবির কোটি টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ইটভাটায় সন্ত্রাসী হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত রবিবার (২২ ডিসেস্বর) রাতে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাউজান ব্রিক মেনুফ্যাকচারের (আরবিএম) অফিস কক্ষে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ইটভাটায় প্রবেশ করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। ইটভাটা অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে। এ সময় ইটভাটার শ্রমিক কবির হাসান ও দিদার হাসানকে বেধড়ক মারধর করা হয়। সন্ত্রাসীদের ডাকাত মনে করে স্থানীয় একাধিক মসজিদের মাইকে মাইকিং করা হলে স্থানীয় লোকজন চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাদের। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সন্ত্রাসীরা ফাঁকাগুলি ছুড়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফেলে যাওয়া অটোরিকশা, মোবাইল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী ইটভাটার স্বত্বাধিকারী হলেন রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এস.এম শফির ছেলে ব্যবসায়ী এস.এম শহিদ উল্লাহ। তিনি বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমার ইটভাটায় এসে এক কোটি টাকার চাঁদা দাবি করেন। ১০ ডিসেম্বর দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে পুনরায় এসে চাঁদা দাবি করেন।
১৩ ডিসেম্বর এক কোটি টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা বাদ দিয়ে ৮০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করেন। ১৫ দিনের মধ্যে চাঁদা না দিলে ইটভাটা ভেঙে দেওয়া ও আমাকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করা হয়। তার দেওয়া সময়ের মধ্যে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আমার ইটভাটা অফিস কক্ষে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা লুট করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে আজ (২৩ ডিসেম্বর) মামলা দায়ের করেছি।
মামলার আসামিরা হলেন- আজিজ উদ্দিন (৫২), মো. রাসেল (৩২), মো. রাকিব (৩০), নুরুন্নবী (৩০), শহিদুল ইসলাম (৩৫), মো. ইব্রাহীম (২৮) ও মো. আফসার (৩৮)।
এই প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, রবিবার রাতে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পরে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ইটভাটা মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারছি চাঁদা না দেওয়ায় ইটভাটায় হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ