কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৬ জন মিয়ানমার নাগরিককে (রোহিঙ্গা) আটক করে যৌথবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেছে জনতা। এ সময় আরও এক রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার উত্তর ধূরুং আকবর বলীপাড়া সুইচগেট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত একটি ট্রলার, অকটেন, ৪টি ধারালো কিরিচ ও দা, ৪৫ পিস ছোট লোহার তীর জব্দ করা হয়।
আটকরা হল, সৈয়দ জোহারের ছেল জকির আহমদ (২৪), আলী জোহারের ছেলে মো. জোহার (১৮), মৃত হাফেজের নুরুল আমিন (১৯), মৃত আলী জোহারের ছেলে মো. ইউনুছ (৩২), মৃত আব্দুল করিমের ছেলে সৈয়দ আমিন (২৯), ও মৃত সিয়োরের ছেলে মোহাম্মদ সিদ্দিক (৪০)। তারা দেশের কোন ক্যাম্পের বাসিন্দা-তা স্বীকার না করলেও সকলেই মিয়ানমার নাগরিক (রোহিঙ্গা) বলে জানান পুলিশ।
জানা গেছে, ওই এলাকায় রবিউল হাসানের দোকানের পেছনে বেঁড়িবাধের কিনারায় ৪-৫ দিন ধরে নোঙর করা একটি ছোট বোটে কয়েকজন ব্যক্তি অবস্থান করছে। একই জায়গায় নোঙরে থাকায় সন্দেহ সৃষ্টি হলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় ওই বোটে উঠে পরিচয় জানার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। এর একপর্যায়ে রোহিঙ্গাদের একজন কিরিচ দিয়ে হামলার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের বোট থেকে নামিয়ে আটক করে পুলিশ ও নৌ-বাহিনীকে সংবাদ দেয়।
সঠিক তথ্য না দিলেও জালাল নামের এক কার্গো ট্রলার মালিক তাদের সাগরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার জন্য ভাড়ায় নিয়ে এসেছেন বলে জানান আটক রোহিঙ্গারা।
এদিকে, কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরমান হোসেন পূর্বকোণকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আটক ৬ রোহিঙ্গাসহ অজ্ঞাত দু’জনের বিরুদ্ধে পৃথক অস্ত্র ও ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রুজু হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
পূর্বকোণ/সুজন/এএইচ