কক্সবাজারের চকরিয়ায় কলেজছাত্র জিহাদ হত্যা মামলার আসামি ধলা মিয়া প্রকাশ দানু মিয়াকে (৩৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এসময় পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছে মো. মুবিন (২৫) নামে অপর এক আসামি।
দানু মিয়া মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মাহারা পাড়ার মো. কলমদরের ছেলে। আহত মো. মুবিন চকরিয়া উপজেলার কোনখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছড়াপাড়ার ছাবের আহমদের ছেলে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে চকরিয়া আসার পথে লাল ব্রিজ এলাকা থেকে দুইজনকে জোর করে একদল সন্ত্রাসী সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। পরে বিকাল ৫টার দিকে পেকুয়া হরিণাফাঁড়ি এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আহতাবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত দানু মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ৮টার দিকে পটিয়া ইন্দ্রপোল এলাকায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল পর্যন্ত চকরিয়া ও পেকুয়ার দুটি থানার কোনটিতে কেউ এজাহার দেয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পেকুয়ার কলেজছাত্র হত্যা মামলার তিন আসামি দানু মিয়া, মো. মুবিন ও মোবারক আলী লালব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী তাদের গাড়ি আটকে দানু মিয়া ও মুবিনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ মোবারক আলী নামে একজনকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিকাল ৫টার দিকে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিণাফাঁড়ি এলাকার একটি সড়কের পাশ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় দানু মিয়া ও মুবিনকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, পেকুয়ায় কিছু সন্ত্রাসী দানু মিয়া ও মো. মুবিনকে অপহরণ করে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সড়কের পাশে ফেলে যায়। আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূইয়া বলেন, সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোবারক আলী নামে একজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তিনি জামিনে থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকার্ত (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে হরিণাফাঁড়ি এলাকা থেকে দানুমিয়া ও মো. মুবিনকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সিটি কলেজের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আসহাবুল করিম জিহাদকে পেকুয়ার বাড়ি থেকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী এলাকায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার পিতা মকছুদুল করিম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পূর্বকোণ/পিআর