চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

মিরসরাই হানাদার মুক্ত দিবস আজ

সাদমান রহমান সময়, মিরসরাই

৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

আজ মিরসরাই হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর মিরসরাই অঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়েছিল। ওই দিন মিরসরাইয়ের মুক্তিকামী জনতা পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের হটিয়ে মিরসরাইকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন।

 

জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর সকাল বেলা মুক্তিযোদ্ধা জাফর উদ্দিন আহম্মদের বিএলএফ গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় দুশ মুক্তিযোদ্ধা মিরসরাই সদরের পূর্ব দিক ছাড়া বাকী তিনদিক ঘিরে ফেলে। বেলা প্রায় ১১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধারা তিন দিক থেকে সংগঠিত হয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ শুরু করে। পাক সেনাদের অবস্থান ছিল মিরসরাই হাই স্কুল, মিরসরাই থানা, মিরসরাই সিও অফিস। পাক সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে পাক সেনারা পলিয়ে যায়।

 

পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা থানায় প্রবেশ করে পাক সেনাদের আটটি রাইফেল উদ্ধার করে। পাক সেনারা চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে গেছে বলে পরে জানা যায়। চট্টগ্রামের কোন অঞ্চল তখনো মুক্তির স্বাদ পায়নি। মিরসরাই শত্রুমুক্ত হয়েছে-এ কথা বাতাসে দ্রুত ছড়িয়ে যায় মিরসরাইয়ের সর্বত্র। মুহূর্তেই চতুর্দিক থেকে জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত মিছিল আসতে থাকে। হাজারো জনতার ঢল নামে মিরসরাই হাইস্কুল মাঠে। মৌলভী শেখ আহম্মদ কবির কোরআন তেলাওয়াত করেন।

 

পরে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা জাফর উদ্দিন আহাম্মদ চৌধুরীসহ সবাই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ঘোষণা করা হয় মিরসরাই ভূখণ্ড পাক বাহিনীমুক্ত একটি স্বাধীন এলাকা। সে থেকে ৮ ডিসেম্বর মিরসরাইয়ে উদযাপিত হয়ে আসছে হানাদারমুক্ত দিবস। মিরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসিম বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে এ বছর কোনো আয়োজন করা হয়নি। তাছাড়া এই দিনটি আঞ্চলিকভাবে পালন করা হতো।

 

মিরসরাইয়ের ইউএনও মাহফুজা জেরিন জানান, এটি কোনো জাতীয় দিবস না। স্থানীয় ইতিহাসের একটি অংশ। এবছর মুক্তিযোদ্ধা অথবা তাদের প্রজন্মের কেউ যোগাযোগ করেনি। তারা যদি করতে চায় তাহলে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট