চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের মারামারিতে উভয় গ্রুপের ১১ জন আহত হয়েছেন। দুই গ্রুপ বিভিন্নস্থানে বার বার পাল্টাপাল্টি অবস্থান করলেও সার্কেল এসপি, ওসি, ব্যাপক পুলিশ ও সেনাবাহিনীর জোরদার টহলের কারণে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটেনি।
বিএনপির এক গ্রুপের বিজয় দিবসের মিছিল-সমাবেশ ঘিরে শোডাউনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাউজান সদরের উপজেলা পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার পর পর্যন্ত এ উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল।
এ প্রসঙ্গে উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খোন্দকারের নেতৃত্বাধীন রাউজান উপজেলা বিএনপি, পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে মিছিল ও সমাবেশ করার জন্য শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে রাউজান সরকারি হাইস্কুলের সামনে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিতে থাকে। বিকেল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনের সামনে থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ সম্মুখে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা ২০-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে কিছু বিএনপি নামধারী ব্যক্তি মিছিলে হামলা করে। এতে উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এইচ.এম নুরুল হুদা, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রহিম উদ্দিন ওয়াসিম, ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ রিজুয়ান, মোহাম্মদ রাকিব, আবদুস ছালাম, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ সাকিল, মো. রবি আহত হন। আহতদের মধ্যে ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ রিজুয়ানের অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের কর্মীদের বিভিন্নস্থানে মিছিলে আসতে বাধা প্রদান করে। একপর্যায়ে আমাদের সাথে হামলাকারীদের মৃদু মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে আমরা মিছিল নিয়ে ফকিরহাট, মুন্সিরঘাটা চত্বর, রাঙামাটি সড়ক প্রদক্ষিণ করি।
আরেক পক্ষের উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাবের সুলতান কাজল বলেন, বিএনপি নামধারী আওয়ামী লীগের চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি রাউজানে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পূনর্বাসন করতে মিছিলের চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা ক্ষুব্দ হয়ে তাদের প্রতিরোধ করে। একপর্যায়ে মিছিল করার চেষ্টাকারীদের হামলায় স্থানীয় যুবদল নেতা রিপন, যুবদল নেতা আলমগীর, সেচ্ছাসেবক দল নেতা রুবেল আহত হয়েছে। মিছিলে আমাদের পক্ষের কেউ তাদের বাধা দেয়নি।
তিনি বলেন, রাউজান বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে.এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতিতে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের এএসপি, থানার ব্যাপক পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দু’পক্ষের লোকজন চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মাঠে রয়েছে। তবে বড় কোন সংঘর্ষ হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ জলিল নগর, মুন্সিরঘাটাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহলে রয়েছে।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ