চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গহীন পাহাড়ের একেবারে চূড়ায় নাপিত্তাছরা এলাকার ত্রিপুরা পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ সন্তানকে নিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া প্রবালক্ষী ত্রিপুরার পাশে দাঁড়িয়েছেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে অসহায় প্রবালক্ষীর হাতে ৪টি কম্বল ও নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি।
এছাড়া উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের রসুলপুর আশ্রায়ণ প্রকল্পে একটি ঘর খালি থাকার সুবাদে সেখানে তার জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রনি সাহা ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. ইসমাইল। বিকেলে ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নে রসুলপুর আবাসন প্রকল্পে ২ শতক জমিসহ দুই কক্ষের একটি আধা পাকা ঘর বুঝিয়ে দেন প্রবালক্ষী ত্রিপুরাকে।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে তিন সন্তানকে নিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া প্রবালক্ষী ত্রিপুরার ব্যাপারে সাংবাদিকদের মাধ্যমে গতকাল জানতে পারি। আমরা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হিঙ্গুলী ইউনিয়নের রসুলপুর সরকারি আবাসন প্রকল্পে ঘর পেয়েও না আসা একটি পরিবারের বরাদ্দ বাতিল করে সেখানে প্রবালক্ষী ত্রিপুরাকে দুই শতাংশ জায়গাসহ ২ কক্ষের একটি আধা পাকা ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি আমরা। তাছাড়া ওই এলাকায় তাদের স্বজনরাও থাকে।
নতুন ঘর পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে প্রবালক্ষী ত্রিপুরা বলেন, ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। অবুঝ সন্তানদের নিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিলাম। এত তাড়াতাড়ি নতুন একটি ঘর পাব ভাবিনি। আমি অনেক খুশি।
পূর্বকোণ/সময়/জেইউ/পারভেজ