চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্রবাসী সেকান্দর চৌধুরী মামুন খুনের ঘটনার তিনদিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নিহতের ভাই শাহাদাত হাছান মুরাদ ভাই বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় এজাহারনামীয় ২১ জন ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার পর মো. ওসমান গনি (২৮) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওসমান গনি উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মধ্যম সরফভাটা গ্রামের মেহেরিয়া পাড়া এলাকার মো. হাবিব উল্লাহর ছেলে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের সাথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এই ঘটনার সমাধান করতে ১ ডিসেম্বর রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সালিশ বৈঠক বসে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। পরে দুই গ্রুপের মাঝে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে একপক্ষের হামলায় মামুন মারা যান।
জানতে চাইলে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, মামুন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রবাসী মামুন এক মাস আগে দেশে এসেছেন। তিনি সৌদি আরবের রিয়াদ বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ