পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ছাদখোলা বাসটি প্রথম দেখলে মনে হবে বিদেশি রাস্তায় পর্যটকদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আসলে না, এটি বিদেশের কোন বাস নয়। এটি একটি ট্যুরিস্ট বাস। শীতের মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথেই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত এখন বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। চিম্বুক পাহাড় থেকে শুরু করে নীলাচল নীলগির মেঘলা সব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য এতদিন চাঁদের গাড়িই বেশি ব্যবহার করা হতো। তবে এবার পর্যটন শিল্পে নতুন সংযোজন হলো বিদেশের মত ছাদ খোলা টুরিস্ট বাস।
এখন পর্যটকরা এই বাসটিতে চড়ে ঘুরে বেড়াতে পারবে বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। সেই সাথে খোলা বাস থেকে উপভোগ করতে পারবে বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বাস থেকেই দেখা যাবে সারি সারি পাহাড় নদী ঝর্ণা আর সবুজের সমারোহ। হোটেল হিল ভিউ কর্তৃপক্ষ এই বাসটি বান্দরবানের সংযোজন করেছেন।
পর্যটনকেন্দ্রগুলোর ছবিযুক্ত সুন্দর এই বাসটি দেখতে ভীড় করছেন পর্যটক ও দর্শণার্থীরা। প্রথম দফায় নীলগিরি জনপ্রতি ৪০০ ও মেঘলা নীলাচল জনপ্রতি ২০০ টাকা করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩১ জন পর্যটক নিয়ে খুব অল্প খরচেই পর্যটকরা ঘুরে বেড়াতে পারবে এমনটাই জানালেন বাসটির মালিক কর্তৃপক্ষ কাজল কান্তি দাশ।
তবে তিনি জানান, অন্য পর্যটক পরিবহন ব্যবসায় নিয়োজিত একটি যানবাহন সমিতি টুরিস্ট বাস চলাচলে বাধা দিচ্ছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সবাই নতুন নতুন কিছু পরিকল্পনা করুক। সবাই মিলে এই এলাকার পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।
পর্যটকরা বলছেন বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ঘুরে বেড়াতে যাতায়াত এবং যানবাহনের একটি সমস্যা ছিল। নতুন খোলা ছাদ টুরিস্ট বাস যুক্ত হয়ে এখন স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াতে পারবে।
পূর্বকোণ/পিআর