চট্টগ্রাম শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাম্পার ফলনে খুশির জোয়ার

লোহাগাড়ায় কৃষকের ঘরে উঠছে আমন

এম এম আহমদ মনির

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১:১৪ অপরাহ্ণ

লোহাগাড়ায় বিলে বিলে শোভা পাচ্ছে আমন ধানের সোনালি ক্ষেত। ক্ষেতের শোভায় ও ভালো ফলনে আনন্দ-খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে কৃষকদের মনে। বিলে বিলে চলছে ফসল কেটে ঘরে তোলার মহোৎসব। আর বাড়ি বাড়ি চলছে ধান মাড়াই কাজের তৎপরতা। বাড়ির বউ-ঝি’রা ধান মাড়াই কাজে সময় অতিবাহিত করছেন।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) উপজেলার আমিরাবাদ, বড়হাতিয়া, আধুনগর, পদুয়া, চুনতি, চরম্বা, কলাউজান, পুটিবিলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, প্রত্যেক এলাকায় সোনালি আমন ধান কাটার মহোৎসব চলছে। এ সময় কথা হয় কয়েকজন কৃষকের সাথে।

 

আমিরাবাদ ইউনিয়নের কৃষক আবদুল মন্নান, চরম্বা ইউনিয়নের কৃষক জনু মিয়া ও সাজ্জাদ হোসেন, বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো, আলী ও আবদুল মোনাফ জানান, এবার আমনের ফলন সন্তোষজনক।

 

তবে তারা উল্লেখ করেন, বর্তমানে চাষাবাদ খুবই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সার, কীটনাশক ও শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বের তুলনায় বর্তমানে আনুপাতিক হারে খরচের পরিমাণ অনেকগুণ বেড়ে গেছে। যে কারণে কোন কোন কৃষক আমন চাষে আর্থিক দুরাবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। ফলন খুবই সন্তোষজনক হলেও ধান বিক্রি করে সেই অনুপাতে তারা কতটুকু লাভবান হতে পারবেন, তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ধে আছেন। কোন কোন কৃষক জানিয়েছেন, তারা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কাছ থেকে যথাসময়ে যথাযথ পরামর্শ সহযোগিতা পেয়েছেন। যে কারণে ফসল উৎপাদনে অনেকটা সফল হয়েছেন।

 

এ প্রসঙ্গে আমিরাবাদ ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ার কৃষক আবদুল মন্নান জানান, এবার তিনি ১২০ শতক জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় তিনি প্রতি ৪০ শতক বা ১ কানিতে ৯০ থেকে ১০০ আড়ি ধান পাবেন বলে আশা করছেন। উৎপাদন খরচ বাদে তাতে তিনি লাভবান হবেন বলেও জানান। এহেন লাভবান হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকেরাও।

 

জঙ্গল পদুয়ায় কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী মিনহাজ উদ্দীন জানান, তার এলাকায় সহস্রাধিক কৃষক রয়েছেন। প্রত্যেকের আমন চাষ খুবই সন্তোষজনক হয়েছে। যথাসময়ে সহযোগিতা, পরামর্শ ও পরিচর্যার উপকরণ প্রভৃতি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষক আমন চাষে সফল হয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

উপজেলা কৃষি অফিসার কাজী শফিউল ইসলাম জানান, এবারে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৮৬৪ হেক্টর জমিতে। তম্মধ্যে অর্জিত হয়েছে ১০ হাজার ৭১৪ হেক্টরে। বাদবাকি প্রায় ১৫০ হেক্টর আবাদি জমি অতি বৃষ্টি ও সাম্প্রতিককালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ক্ষতিগ্রস্ত জমিগুলোতে আগাম শীতকালীন শাক-সবজি উৎপাদনে কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছেন। উপজেলায় সর্বমোট ৩৫ হাজার কৃষক আমন চাষের সাথে জড়িত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পূর্বকোণ/এমটি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট