চট্টগ্রাম রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

সাগরে অপহৃত কুতুবদিয়ার ১৯ জেলে বাড়ি ফিরেছে

কুতুবদিয়া সংবাদদাতা

১০ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:০০ অপরাহ্ণ

গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের হাতে ফিশিং বোটসহ অপহরণের শিকার কুতুবদিয়ার ১৯ জেলে দীর্ঘ তিনদিন পর বাড়ি ফিরেছে। এতে ফিরে আসা জেলের পরিবারে চলছে আনন্দ-উৎসব। আর অন্যদিকে নিহত প্রতিবেশী মাঝি মোকাররমের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

 

রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে দ্বীপের পশ্চিমে প্রায় ৮০ কিলোমিটার সাগর পাড়ি দিয়ে অপর দুটি ফিশিং বোটের সাহায্যে আকবর বলী পাড়া জেটি ঘাটে পৌঁছায় জেলেরা। এর আগে শুক্রবার বিকেলে অপহৃত ওই বোটের ইঞ্জিন বিকল করে জলদস্যুরা তাদের মুক্তি দেয়।

 

ফিরে আসা জেলেরা হলেন- উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার মনছুর আলম (৪৮), জমির বাপের পাড়ার শাহ আলম (৪০), রুহল আমিন (২৫) ও নয়ন (২৩), চাটি পাড়ার নাছির উদ্দীন (৪৫), শাহজাহান (৪৫), আব্বাস উদ্দিন (৩০) ও তৌহিদ (২২), কাইসার পাড়ার প্রকাশ শুনাইয়া (৪৮) ও রেজাউল করিম (২৮), ফরিজ্যার পাড়ার গিয়াস উদ্দিন (৪৮), মেহেদি হাসান (২৬), সাকিব (২২), ইদ্রিস (২২) ও সায়েদ (২১), কুইলার পাড়ার সাগর (২২) এবং দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের মশরফ আলী বলির পাড়ার প্রকাশ কালু (৪৫) ও রুবেল (২১) এবং নোয়াখালী রামগতির শাহ আলম (৩৫)।

 

ফিরে আসা জেলেরা বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে মাঝিকে গুলি করে আরেকটি বোটে তুলে দেয়ার পর তাদেরকে মারধর করে কখনো কেবিনে আবার কখনো জালের স্টোরে বন্দি রাখা হয়। এরপর জলদস্যুরা অপহৃত উন্নতমানের ইঞ্জিনসম্পন্ন ওই বোট দিয়েই ৬-৭ টি বোট ডাকাতি করেছেন বলে ধারণা জেলেদের। ঠিকমতো আহারের সুযোগ দিলেও আলো দেখতে দেয়নি জলদস্যুরা। সরাসরি চেহারা না দেখলেও কখনো সামনে দাঁড় করালে জলদস্যুদের সহজে চিহ্নিত করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা পূর্বকোণকে বলেন, বোটসহ অপহৃত ১৯ জেলেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় প্রশাসন ও মিডিয়া কর্মীরা জোরালোভাবে কাজ করেছে। সরেজমিনে গিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনী উদ্ধার হওয়া জেলেদের বরণ করেছে। পাশাপাশি শারীরিক চিকিৎসা গ্রহণ ও সাবধানতার সহিত সাগরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে বাঁশখালীর ইসমাইল কোম্পানির মালিকানাধীন এফবি আল্লাহর দয়া নামক ফিশিং বোটটি দস্যুতার কবলে পড়ে। এ সময় অপর আরেকটি বোটে তুলে দেয়া গুলিবিদ্ধ মাঝি মোকাররম নিহত হয় এবং জীবিত ফিরে জয়নাল নামের এক জেলে। তবে বাকি ১৯ জেলেসহ বোটটি অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা।

 

পূর্বকোণ/সুজন/জেইউ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট