জুমার নামাজের পর থেকে পটিয়া রেলস্টেশনের সামনে জড়ো হতে থাকেন ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, ভবঘুরে, পথশিশুসহ অসহায় সব মানুষ। রেলস্টেশনের পাশে অবস্থিত গাউছিয়া হোটেলের সামনে সাজানো হয় চেয়ার-টেবিল। দেখে মনে হতে পারে এটি কোন মেজবান বা সামাজিক অনুষ্ঠান। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য।
কোন আমন্ত্রিত মেহমান নয়, সেখানে আগত অসহায় মানুষেরাই খাবার খাচ্ছেন সাজানো চেয়ার-টেবিলে বসে। আর তাদের মেহমানদারিতে ব্যস্ত হোটেল মালিক নুরুল আলম ও তার ভাই মো. আবুল কাসেম। জানা গেছে, দুই বছর ধরে প্রতি শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত গরিব ও অসহায় মানুষদের একবেলা ফ্রি খাওয়ানো হয় পটিয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন গাউছিয়া হোটেলে।
শুক্রবার এলেই তাই হোটেলের সামনে ভিড় জমান ভিক্ষুক, ভবঘুরে, প্রতিবন্ধী, পথশিশুসহ নিম্নআয়ের অসহায় মানুষেরা। আর তাদের নিজ হাতে আপ্যায়ন করেন হোটেলের মালিক নুরুল আলম ও তার ভাই মো. আবুল কাসেম। প্রতি সপ্তাহে ১০০-১৫০ জনের খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে থাকে। স্থানীয় ফারুকুর রহমান বিনজু বলেন, এটি একটি মহৎ কাজ। এ হোটেলে প্রতি শুক্রবার অনেক অসহায় মানুষকে ফ্রি খাবার খাওয়ান হোটেল মালিক নুরুল আলম ও তার ভাই মো. আবুল কাসেম।
আর যারা খেতে আসেন তারাও মনের তৃপ্তি নিয়ে সেখানে খেয়ে মালিকের জন্য দোয়া করেন। হোটেলের মালিক মো. আবুল কাসেম বলেন, আমরা দুই ভাই মিলে এ হোটেল পরিচালনা করি। দুই বছর ধরে আমার বড়ভাই নুরুল আলমসহ আমি এভাবে গরিব মানুষকে প্রতি শুক্রবার বিনা টাকায় খাওয়াচ্ছি। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে গরিব-অসহায়দের জন্য এই খাবারের ব্যবস্থা করে আসছি। আশা করি এ হোটেল যতদিন থাকবে, ততদিন পর্যন্ত গরিবদের জন্য এ ব্যবস্থা চালু থাকবে।
পূর্বকোণ/ইব