চট্টগ্রাম রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

মহেশখালীতে পাচারের সময় ১২ হনুমান উদ্ধার, বনে অবমুক্ত

মহেশখালী সংবাদদাতা

৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ৫:৫৩ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের মহেশখালীতে পাহাড়ের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ১২টি বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণী হনুমান উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টায় উপজেলার শাপলাপুরের বারিয়ারছড়ি এলাকার ওই বাড়ি থেকে এসব হনুমান উদ্ধার করা হয়।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হক। তিনি বলেন, খবর পেয়ে বিকালে শাপলাপুর গিয়ে বন্যপ্রাণী হনুমানগুলো বনের মধ্যে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

 

জানা যায়, উপজেলার শাপলাপুর এলাকার বারিয়ারছড়ি পাহাড়ের ভেতরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে একদল বনদস্যু বিলুপ্ত প্রায় ১২টি বন্যপ্রাণী হনুমান পাচারের জন্য খাঁচায় আটকে রেখেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাচ্চাসহ ১২টি হনুমান উদ্ধার করে স্থানীয় বন বিটের বিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে বনবিভাগের লোকজন।

 

শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নুরে আলম মিয়া বলেন, মহেশখালীর পাহাড় থেকে বিপুল বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী পাচার করার খবরে বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে ১২টি হনুমান উদ্ধার করেছে। পাচার চক্রে কারা জড়িত তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, দেশের তিন প্রজাতির হনুমানের দেখা মেলে, যার মধ্যে একটি হল কালোমুখ হনুমানের (Hanuman Langur)। বুনো পরিবেশে এদের গড় আয়ু ১৮-৩০ বছর। সাধারণত জুলাই- অক্টোবর বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এদের প্রজননকাল। স্ত্রী হনুমান ২০০ থেকে ২১২ দিন গর্ভধারণের পর সাধারণত ১/২টি বাচ্চা প্রসব করে। হনুমানের এই প্রজাতিটি গাছের কচিপাতা, শাকসবজি ও ফলমূল, ফুল খায়। তবে বসতবাড়ির কাছাকাছি বসবাস করায় মানুষের খাবারেও এরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।

 

তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন) ২০১২ অনুযায়ী হনুমানের এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই এটি হত্যা বা এর কোনো ক্ষতিকরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট