চট্টগ্রাম রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুর গুলিতে মাঝি নিহত

মহেশখালী সংবাদদাতা

৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ৪:০৮ অপরাহ্ণ

মহেশখালী সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুর গুলিতে মোকাররম নামের এক ট্রলার মাঝি নিহত হয়েছেন। এ সময় প্রাণ বাচাঁতে ট্রলারে থাকা অন্য জেলেরা সাগরে ঝাঁপ দেন। তারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

 

নিহত মোকাররম মাঝি উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিম সিকদার পাড়া এলাকার মৃত জাফর আলমের ছেলে।

 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বার) ভোর ৪ টার সময় বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলের পশ্চিমে এ ঘটনা ঘটে।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়ার পশ্চিমে জলদস্যুর কবলে পড়েন একটি মাছ ধরার ট্রলার। এসময় জলদস্যুর গুলিতে মোকাররম মাঝি নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। ট্রলারে থাকা অন্য জেলেরা নিখোঁজ।

 

জেলেরা জানান, ট্রলারে ডাকাতের আক্রমণ হলে দুইজন পালানোর চেষ্টা করে। এসময় জলদস্যু মঞ্জুর বাহিনী তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে মোকাররম নামে ওই মাঝি ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং একজন আহত হন। ট্রলারটির মালিক বাঁশখালীর বাসিন্দা ইসমাইল।

 

ট্রলারের মালিক ইসমাঈল জানান, তার ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে নামে। মাছ ধরতে সমুদ্রে যাওয়ার পরই জলদস্যুরা আক্রমণ চালায়। তারা ট্রলার ও জেলেদের ধরে নিয়ে গেছে এবং ট্রলারে থাকা মাছও লুট করে নিয়ে যায়।

 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীর সোনাদিয়ার কাছে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জেলেরা। এ সময় জেলেরা দ্রুত ওই স্থান থেকে চলে যেতে চাইলে দস্যুরা ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ট্রলারের মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরে পড়ে যায়। পরে অন্য জেলেরা তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়ার মগনামা ঘাটে নিয়ে আসে। এরপর ওখান থেকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের দিকে নেওয়ার পথে সমুদ্রের বাঁশখালী পয়েন্টে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে মরদেহ বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।

 

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে গভীর সাগরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত একজনের লাশ বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট