অবশেষে খুলে দেওয়া হলো বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। দীর্ঘ এক মাস পর তুলে নেওয়া হয়েছে পর্যটকদের ভ্রমণের উপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা। এখন থেকে পর্যটকরা বান্দরবানের নীলগিরি, নীলাচল, মেঘলাসহ চারটি উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে নিরাপত্তার কারণে সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে এখনও পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব জায়গা থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হক। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা ও হোটেল মোটেল ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে গত ৭ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের উপর প্রশাসন থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এতে করে লোকসান ও ক্ষতির মুখে পড়েছে বান্দরবানের পর্যটন শিল্প। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গত পহেলা নভেম্বর থেকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর অবশেষে বান্দরবানেও খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এতে পর্যটকরা যেমন বান্দরবানে বেড়াতে আসছেন অন্যদিকে পর্যটন ব্যবসায়ী ও স্টেক হোল্ডারদের মধ্যেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।

হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন বাড়াতে বড় ধরনের ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বিভিন্ন সমিতির পক্ষ থেকে। এছাড়াও পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা আগের চাইতে বাড়ানো হবে। এদিকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় আবারও পর্যটন ব্যবসা বান্দরবানে ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পূর্বকোণ/পিআর