বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদসহ দলের ১৬ জন নেতাকর্মী একটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাইফুল এলাহী এ আদেশ দেন। ২০১১ সালে দায়ের করা এই মামলায় দীর্ঘ তদন্তের পর চারজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হলেও সালাহউদ্দিন আহমদসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না জানান, এই খালাসে তারা খুশি। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পেরেছেন।
এই খবর পাওয়ার পর সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি সবসময়ই বিশ্বাস করেছি যে, আমি নির্দোষ। আজ আদালত আমার সেই বিশ্বাসকে সত্য করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই মামলায় আমার সময় ও শক্তি নষ্ট হয়েছে। তবে সত্যের জয় হয়েছে।
কক্সবাজারের ওই মামলায় হেফাজতুর রহমান টিপু, জিয়াউল কবির, ইমরুল হাসান হান্নান ও মৌলভী রফিক আহমদ নামে চারজন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। তবে, সালাহউদ্দিন আহমদসহ দলের আরও ১৬ জন নেতাকর্মীকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাস পাওয়া অন্যান্যদের মধ্যে হলেন জয়নাল, রুবেল বড়ুয়া, আজিজুল হক, জালাল উদ্দিন, আবদুর রহিম, নুরুল আমিন, জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিম, সাইফুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ ওরফে রাইফেল সেলিম, ইব্রাহিম খলিল, মো. হোছন, মো. বাবুল, সাইফুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম ও মনজুর আলম।
উল্লেখ্য যে, এই মামলাটি ২০১১ সালে চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন একটি ঘটনার জের ধরে দায়ের করা হয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারণার সময় সংঘটিত এক ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আড়াই হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছিল। যদিও মাত্র ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল, বাকিদের পলাতক দেখিয়ে মামলাটি রুজু করা হয়েছিল।
পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/পারভেজ