পর্যটন ব্যবসায় লোকসানের কারণে বান্দরবানের হোটেল, মোটেল, রিসোর্টগুলো চালিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। আগামী ৩১ অক্টোবরের পর পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া না হলে বান্দরবানের হোটেল, রিসোর্ট বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
গতকাল সোমবার বান্দরবান জেলা প্রশাসক বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে বান্দরবানের বেশ কয়েকটি ভালো মানের হোটেল-রিসোর্ট বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা প্রশাসন ও সরকারের কাছে বারবার এ বিষয়ে জানিয়েছি। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে পার্বত্য চট্টগ্রামের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা তুলে নেওয়া না হলে বান্দরবানে এমনিতেই সব হোটেল-রিসোর্ট বন্ধ হয়ে যাবে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট যেসব ব্যবসা রয়েছে, তাও এখন বন্ধ হওয়ার পথে। জেলা প্রশাসককে দেওয়া চিঠিতে পর্যটন ব্যবসায়ীরা ১৫টি সমস্যার কথা তুলে ধরে তা অবিলম্বে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে বান্দরবানে বেশ কিছু রিসোর্ট বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় হাজার খানেক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে ৩১ অক্টোবরের পর ব্যবসায়ীরা হোটেল-রিসোর্টগুলো বন্ধ করে দেবেন। ব্যবসায়ীদের মতে, জেলার পর্যটনখাতে কয়েকশ বিনিয়োগকারী যুক্ত থাকলেও অধিকাংশই ঋণগ্রস্ত। বর্তমানে জেলা প্রশাসনের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার ফলে আরও বড় সংকটের মুখে পড়েছে বান্দরবানের পর্যটনখাত। রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দীন মাস্টার বলেন, পর্যটকদের আগমন না থাকায় জেলা সদরে প্রায় ২৫টি রেস্টুরেন্ট ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।
আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জানান, খরচ সামলাতে না পারায় ইতোমধ্যে অনেক হোটেলের মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। ৩১ অক্টোবরের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা না হলে অধিকাংশ হোটেল-রিসোর্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
পূর্বকোণ/ইব