প্রাইভেটকার ভাঙচুর করার অভিযোগে থানায় মামলা করতে গিয়ে ইমরান হোসেন বাবলু (২৯) নামে এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা।
গ্রেপ্তার ইমরান হোসেন বাবলু কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া (৬ নম্বর ওয়ার্ড) আবদুল মোনাফ বাড়ির রেজাউল করিমের ছেলে। বাবলুর অপর নাম সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের আলী হোসেন এলাকায় একটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারের সামনের গ্লাস ভেঙে যায় ও মোটরসাইকেলেরও কিছুটা ক্ষতি হয়। প্রাইভেটকারের চালক ছিলেন ইমরান হোসেন বাবলু। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করতে যান। মোটরসাইকেল আরোহী দুইজনও থানায় আসেন। পরে পুলিশ বিশ্বস্ত সূত্র ও তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে জানতে পারেন মামলা করতে আসা প্রাইভেটকার চালক যুবক (ভিকটিম) বাবলু কর্ণফুলীর জাফর হত্যা মামলা ও চেক প্রতারণা মামলার আসামি। পুলিশের খোঁজে তার সত্যতাও মিলে।
এতে বেরিয়ে আসে ইমরান হোসেন বাবলু সিআর সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিন জনেই থানা হাজতে রয়েছেন বলে জানা যায়। বাকি দু’জনের পরিচয় তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে তারা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা যায়।
এরই মধ্যে তথ্য মিলে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বরেও কর্ণফুলী থানা পুলিশের এক বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হন এই ইমরান হোসেন বাবলু ও সাজেদা বেগম সাজু। জানা যায়, সাজেদা বেগম তার মা।
আরও তথ্য মিলে, গত ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া ফকির মসজিদের সামনে সংঘটিত জাফর আহমদ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ছিলেন ইমরান হোসেন বাবু।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন। তবে তিনজনেই থানায় আটক রয়েছেন।’
পূর্বকোণ/এএইচ