বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রতিবেশের সুরক্ষায় সেখানে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত দ্বীপটিতে পর্যটকের বিচরণ সীমিত করা হবে। আর ফেব্রুয়ারিতে সেখানে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, “নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন, কিন্তু রাতে থাকতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ২ হাজার পর্যটক প্রতিদিন যেতে পারবেন, রাতেও থাকতে পারবেন। ফেব্রুয়ারিতে কোনো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবেন না, তখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে।
সেন্ট মার্টিনের সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, এটি একটি প্রবাল দ্বীপ। এখন প্রচণ্ড ভার্নারেবল একটি জায়গায় আছে। ৪১ শতাংশ অবশিষ্ট আছে, এটা রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে ৷ এই কারণে পদক্ষেপগুলো নেওয়া।
এ ছাড়া সেন্ট মার্টিনে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে বলেও জানান তিনি।
দুই হাজার পর্যটককে কীভাবে নির্বাচন করা হবে, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, পর্যটকরা যাবে, তাদের নম্বর করা হবে। এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি কারা এটা নিয়ন্ত্রণ করবে। যৌথ উদ্যোগেই করা হবে। পূর্ণাঙ্গ বিষয় পরবর্তীতে জানানো হবে।
গত ৭ অক্টোবর সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিন, কক্সবাজার এবং কুয়াকাটাকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই প্রবাল দ্বীপ আমাদের দেশে একটিই আছে, তাই একে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পূর্বকোণ/এমটি/পারভেজ