বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নে ওমানের ভিসার টাকা ফেরত চাওয়ায় ছুরিকাঘাতে মঞ্জুর আলম প্রকাশ বাবুল (৪২) নামে একব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় জড়িত সোহেল রানা (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ছনুয়া ইউনিয়নের ছেলবন এলাকার ছালেহ আহমদ শিকদারপাড়া সাইক্লোন সেন্টার এলাকায় এই খুনের ঘটনা ঘটে।
নিহত মঞ্জুরুল আলম মনজুর আলম ছনুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সোলতান সিকদার পাড়ার মধুখালী গ্রামের মৃত দলিলুর রহমানের ছেলে। গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানা ছনুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছেলবন গ্রামের মাস্টার মোহামদ আলমের ছেলে।
জানা যায়, ছনুয়া ইউনিয়নের ছেলবন এলাকার মাস্টার মোহাম্মদ আলমের সাথে একই এলাকার মঞ্জুরুল আলমকে ভিসা দেয়ার জন্য টাকা লেনদেন হয়। মাস্টার মোহাম্মদ আলম মেয়ের জামাই পেকুয়ার রাজাখালীর বাসিন্দা ওমানের ভিসা নিয়ে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা লেনদেন করেন। ভিসানুযায়ী চাকরি না পেয়ে কিছুদিন পরে বিদেশ থেকে ফিরে আসে মঞ্জুর আলম। বিদেশ থেকে বাঁশখালী এসে ইউনিয়ন পরিষদে সালিশের বৈঠক ডাকেন। শালিশের সেই বৈঠকে মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে রায় আসে। এ ঘটনার পর থেকেই মঞ্জুরুল আলমের সাথে মাস্টার মো. আলমের পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
আজ শুক্রবার সকালে মঞ্জুরকে টাকা দেয়ার কথা বলে শিকদার পাড়া সাইক্লোন সেন্টার এলাকায় ডেকে নেয় সোহেল রানা। এ সময় তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে সোহেল রানাসহ অন্য লোকজন মঞ্জুরকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে মঞ্জুর আলমের মৃত্যু হয়।
ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামাল হোসেন বলেন, ‘ভিসার বিষয় নিয়ে পরিষদের সালিশি বৈঠক হয়েছে। রায়ও হয়েছিল।’
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ছনুয়ায় মঞ্জুর আলম খুনের ঘটনায় জড়িত সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিদেশি ভিসা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ ছিল তাদের মধ্যে। ধারণা করা হচ্ছে- ভিসার টাকার ফেরত নিয়ে এই ঘটনা ঘটতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদের পর সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ