আনোয়ারা উপজেলায় পারকি সমুদ্রসৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিসর্জন ও দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে সৈকতে হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগী ভিড় করেন। এবার তিথির কারণে মহানবমী পূজার পরই একই দিনে দশমীর বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজার আনুষ্ঠানিকতা না থাকায় রবিবার দুপুর থেকে বিসর্জন শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
প্রতিবছরের মতো এবারও আনোয়ারা-কর্ণফুলীর বিসর্জনের প্রধান স্থান ছিল পারকি সমুদ্রসৈকত। এছাড়া কর্ণফুলী নদী, শঙ্খ নদ, ইছামতী খালসহ বিভিন্ন এলাকার পুকুরেও দেওয়া হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে অনেকে পারকি সৈকতে না গিয়ে কর্ণফুলী নদী ও শঙ্খ নদে প্রতিমা বিসর্জন দেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিমা বিসর্জনে আসা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ইকবাল হায়দার চৌধুরী বলেন, আমাদের দলের নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্গোৎসব উৎসবমুখর পরিবেশে সমাপ্তি করতে শুরু থেকে আমরা প্রতিটি মণ্ডপ পরিদর্শন করেছি। আজ বিসর্জনে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য আমরা পারকি সৈকতে অবস্থান করেছি।
আনোয়ারা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাগর মিত্র বলেন,পারকি সৈকতে এ বছর বিশটির মতো প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। অনেকেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে পার্শ্ববর্তী নদী বা নিজেদের পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন। সৈকতে পুলিশ, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড ও প্রশাসন সহায়তা করেছে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, বিসর্জন ঘিরে সৈকত ও আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে পেরেছেন সবাই। উল্লেখ্য যে, এ বছর ব্যক্তিগত ও সর্বজনীনসহ আনোয়ারা উপজেলায় ২৯৯টি ও কর্ণফুলী উপজেলায় ২৮টি মণ্ডপে পূজা হয়েছে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ