কক্সবাজারে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জনের উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই আয়োজনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর থেকেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে প্রতিমাগুলো এনে সৈকতে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হচ্ছে। এই বিশাল সমাগমকে সামলাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিসর্জনের স্থান এবং আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছেন।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু জানিয়েছেন, কক্সবাজারে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। প্রায় ৩ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী জানায়, রামু উপজেলার বিভিন্ন মন্দির থেকে মোট ৭টি প্রতিমা কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিসর্জনের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকি প্রতিমাগুলো স্থানীয় বাঁকখালী নদীতে বিসর্জন দেওয়া হবে। উভয় স্থানেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম জানিয়েছেন, পর্যটক ও পূজারিদের নিরাপত্তার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, লাখো মানুষের সমাগমকে সামলাতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিযুক্ত রয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোনো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য নৌবাহিনীর সোয়াটস কমান্ড মহড়া দিচ্ছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, পূজারি মিলে লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন উৎসব নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন সবরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আশা করছেন এই অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তারা।
পূর্বকোণ/পিআর