চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে রোজিনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামী জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ৯টায় মিরসরাই পৌরসভার ডাকবাংলো এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
জহুরুল ইসলাম জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা এবং রোজিনা আক্তার সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানার আবদুল মজিদের মেয়ে। চাকরির সুবাধে তারা মিরসরাইয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাত ৯ টায় মৃত অবস্থায় রোজিনা আক্তারকে মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বামী জহুরুল ইসলাম। এসময় হাসপাতালে জহুরুল ইসলাম দাবি করেন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রোজিনা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরবর্তীতে মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতাল থেকে লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বামী জহুরুল ইসলাম। এসময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লাশের শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে মিরসরাই থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন এবং স্বামী জহুরুল ইসলাকে আটক করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক আরিফুল হুদা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রোজিনা আক্তার মারা যান। গলায় এবং ঠোঁটের নিচে কাটা দাগ দেখে আমরা মিরসরাই থানায় খবর দিই। পরবর্তীতে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহীদুল্লাহ মামুন বলেন, সুরতহালে লাশের শরীরে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল আত্মহত্যার প্রচারণার জন্য। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের বলেন, গৃহবধূ রোজিনা আক্তারকে হত্যার অভিযোগে তার ভাই মাসুদ রানা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। হত্যায় জড়িত স্বামী জহুরুল ইসলামেকে গ্রেপ্তার করে রবিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
পূর্বকোণ/পিআর