কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে অপহরণ চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, রবিবার বিকাল ৫টায় টেকনাফ সদর ইউপিস্থ দক্ষিণ লম্বরী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হল- টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কচ্ছপিয়া করাচিপাড়ার হাসান আলীর ছেলে পারভেজ মোশারফ (১৯) এবং সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর লম্বরীর মনির আহমেদের ছেলে নুরুল আফছার (১৯)।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভিকটিম উখিয়া কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের নুরুল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ হামিম (১৫) দুপুরে জুম্মা নামাজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়। নামাজ শেষে ভিকটিম বাড়িতে ফেরার পথে অপহরণকারী উখিয়া রত্নাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড কোটবাজারের আলী হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সেলিমের (২৭) সাথে দেখা হয়। সেলিম ভিকটিমকে ফুসলিয়ে টেকনাফ থানাধীন শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় বেড়াতে নিয়ে যায়। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলে ভিকটিম বাড়ি না ফিরলে তার মা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ৫ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে অপহৃতের মায়ের মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে জানায়, তার ছেলে ভিকটিম মোহাম্মদ হামিম (১৫) অপহরণকারীদের নিকট আটক আছে এবং অপহৃতের মুক্তিপণ বাবদ ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা না দিলে অপহরণকারীরা তার ছেলেকে প্রাণে হত্যা করবে মর্মে হুমকি-ধমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা টেকনাফ মডেল থানায় পুলিশকে ছেলের অপহরণের বিষয়টি অবগত করেন।
পরবর্তীতে থানা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান শুরু করেন। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণকারীদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের শেষ লোকেশনের মাধ্যমে তাদের বর্তমান অবস্থান শনাক্ত করে। পুলিশের অভিযানিক টিম ৬ অক্টোবর বিকাল ৫টায় টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ সদর ইউপিস্থ দক্ষিণ লম্বরী এলাকার অপহরণকারী ফয়সালের (২৮) বসতবাড়ির সামনে এলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের অভিযানে অপহরণ চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য পারভেজ মোশারফ ও নুরুল আফছারকে গ্রেপ্তার এবং ভিকটিম মোহাম্মদ হামিমকে (১৫) উদ্ধার করে পুলিশ ।
ভিকটিমের মা সাবেরা বেগম বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ