রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ও হত্যা মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো-হত্যা মামলার আসামি মো. রুবেল (২৩), আরবার (১৭) এবং অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মামলার আসামি রাকিব (২৭) ও আরিফুল (১৭)। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, শুক্রবার ভোররাত ৪টার দিকে মানিকছড়ি উপজেলা থেকে অনিক কুমার চাকমা হত্যা মামলার আসামি রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন বিকেলে আরেক আসামি আরবারকে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ওই দিন বিকেলে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে রাকিবকে ও রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে আরিফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আরবার ও আরিফুল অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় তাদের দুজনকে পুলিশের নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বের খাগড়াছড়িতে মো. মামুন নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৯ সেপ্টেম্বের খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালায় পাহাড়িদের বাড়িঘর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়াও তিনজন ব্যক্তি নিহত হন। ২০ সেপ্টেম্বের এসব ঘটনার প্রতিবাদে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ-মিছিলটি বনরূপায় পৌঁছালে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এতে মিছিলে অংশগ্রহণকারী অনিক কুমার চাকমা নামের এক শিক্ষাথীকে নিমর্মভাবে পিটিয়ে হত্যা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও বিভিন্ন ঘরবাড়ি দোকানপাটে, যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর অনিক কুমার চাকমার বাবা আদর সেন চাকমা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এছাড়া অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুই হাজারের অধিক অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
পূর্বকোণ/পিআর