চট্টগ্রাম বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

ব্রিকসলিনের ব্রিক ভেঙে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি, দ্রুত সংস্কারের দাবি

বড়ঠাকুর পাড়া স্কুল সড়কে খানাখন্দে দুর্ভোগ

জাহেদুল আলম, রাউজান

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

রাউজানের বড়ঠাকুর পাড়া স্কুল সড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্রিকসলিনের ইট ভেঙে সৃষ্ট গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও কয়েক গ্রামের মানুষের। সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারকাজ না হওয়ায় যান চলাচলে যেমন দুর্ভোগ বেড়েছে, তেমনি হাঁটারও অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি।

 

জানা যায়, এ সড়ক দিয়ে স্থানীয় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও শত শত যাত্রীবাহী ছোট-বড় পরিবহন ও মালবাহী গাড়ি চলাচল করে থাকে। সড়কের দুরাবস্থায় সকলকেই যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কের সব গর্তের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশা, ইজিবাইক, মালবাহী গাড়ি, কিংবা যাত্রীবাহী ছোট ছোট যানবাহন উল্টে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার মতো ঘটনাও ঘটছে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, রাউজানের পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের এ সড়ক দিয়ে স্থানীয় বড়ঠাকুর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব গুজরা উচ্চ বিদ্যালয়, দুটি কিন্ডারগার্টেন, হযরত মাওলানা শেখ আনছার আলী শাহ (রহ.) মাজার ও বড়ঠাকুর পাড়া কোরআনিয়া দরবারে যাতায়াত করতে হয় স্থানীয়দের। প্রতিদিন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় লোকজন রিকশা-ভ্যান, অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবাহনে করে চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংস্কার না করায় পুরো রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে সেখানে পানি জমে কাদায় একাকার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বড়ঠাকুর পাড়া সিএনজি স্টেশন থেকে স্কুল পর্যন্ত এ সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। প্রতিদিনই সড়কের এ অংশে চলাচলরত যানবাহন ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। উল্টে যাচ্ছে রিকশা, অটোরিকশা এবং রাস্তার মাঝখানে আটকে যাচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন। ইতোমধ্যে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় সড়কের বেশকিছু অংশ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করে কোনমতে চলাচল উপযোগী করা হলেও সরকারিভাবে সড়কটি সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

 

সড়কে চলাচলরত বড়ঠাকুর পাড়া এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ জানান, এই রাস্তাটিতে প্রতিদিন প্রায় হাজার শিক্ষার্থী ছাড়াও শতশত ছোট-বড় যানবাহন অহরহ চলাচল করে। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা, ভোগান্তিতে পরে মানুষের জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অটোরিকশা চালক মো. রাজু জানান, এ সড়কে ছোট-বড় গর্তের কারণে চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, ‘সড়কটির কথা আমাদের কাছে জানা আছে। আগামীতে নাম চাওয়া হলে আমরা এটি অগ্রাধিকার দিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করবো।

 

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট