খাগড়াছড়িতে টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধে রাঙামাটির সাজেকে আটকে পড়া দেড় হাজার পর্যটকের মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক পর্যটক বেসরকারি হেলিকপ্টার করে সাজেক ত্যাগ করেছেন।
জানা গেছে, ব্যক্তিগত খরচে হেলিকপ্টার ভাড়া করে নিয়ে আসেন পর্যটকরা। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সাজেকের বিজিবি হেলিপ্যাডে বেসরকারি ৪টি হেলিকপ্টার পর পর অবতরণ করেন। পরে প্রায় অর্ধশত পর্যটক হেলিকপ্টারে করে সাজেক ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দীঘিনালার বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানান, প্রায় ৫০ জন চারটি বেসরকারি হেলিকপ্টারে করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সাজেক ছেড়েছেন। কাল অবরোধ শেষ হলে বাকিদেরও মুভ করানো হবে।
ছাত্র বিক্ষুব্ধ জুম্ম জনতার ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ পালন করায় সোমবার সন্ধ্যায় অংকন চাকমা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে, একইসাথে বিজ্ঞপ্তিতে নিহতের ক্ষতিপূরণ, আহতদের সু-চিকিৎসা ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা বিধান, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকদের ক্ষতিপূরণসহ সাতটি দাবির কথা তুলেন ধরেন। এসব দাবি পূরণ করা না হলে শিগগিরই নতুন কর্মসূচি প্রদান করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়।
৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলাকালে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অবরোধের শেষ দিনও জেলার আন্তঃযোগাযোগ ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি সদরের নোয়াপাড়া এলাকায় চৌর্য্যবৃত্তি সন্দেহের অভিযোগে মামুন নামে এক বাঙালি যুবক নিহত হয়। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীঘিনালায় দোকানপাটে অগ্নিকাণ্ড ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হন।
পূর্বকোণ/জহুর/জেইউ/পারভেজ