চট্টগ্রাম সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি প্রত্যাহার, স্বাভাবিক হচ্ছে চিকিৎসাসেবা

কক্সবাজার সংবাদদাতা

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৩:০০ অপরাহ্ণ

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের উপর হামলার প্রতিবাদে পাঁচদিন ধরে চলা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারীরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সিদ্ধান্তের পর বিকাল ৩ টা থেকে হাসপাতালের সব বিভাগ সচল হয়েছে। চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা। হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রোগী ও স্বজনেরা।

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। তারা জানান, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রশাসনের দায়িত্ব আরও বেড়েছে। প্রশাসন তাদের দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধি শাহ তালাল মাহমুদ দিহান বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে, ৫ দিনের মধ্যে তাদের দাবিগুলোর অগ্রগতি না হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিন ঞো বলেন, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আসেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ। তারা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ডা. সজীব কাজীর উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই আপাতত ৫ দিনের জন্য চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে হাসপাতালে আনসার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। এভাবেই নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ডা. সজীব কাজী নামের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।

চিকিৎসকরা তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং শাস্তি নিশ্চিত করা, তাদের ছবিসহ পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ, চিকিৎসক-নার্সসহ হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভাঙচুরের ঘটনায় হাসপাতাল প্রশাসনের মামলা দায়ের এবং আহত চিকিৎসককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উল্লেখ করেন।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট