বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে দুর্ঘটনায় ৮টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জন জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও শতাধিক নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। এছাড়া অব্যাহত রয়েছে বর্ষণও। কক্সবাজারে গেল ২৪ ঘন্টায় ২৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গত ৪৮ ঘণ্টায় ৮টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও শতাধিক জেলে। কক্সবাজার বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গেল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ৮টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে ও ২ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।
আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নাজিরারটেকে ১ জন, মোস্তাকপাড়া ১ জন, ইনানিতে ২ জনের লাশ পাওয়া যায়। এছাড়া, ৩০ জন মাঝিমাল্লাসহ আরও একটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তীব্র ঝড়ো হাওয়ার কারণে এই ট্রলারটি তীরে ভিড়তে পারছে না।
সাগর উপকূলের লাবণী চ্যানেলে এফবি রশিদা নামের একটি এবং সাগরের ইনানী পয়েন্টে ৫টি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এসব ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লারা কূলে আসতে পারলেও ৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া মোহাস্মদ জামাল (৩৭) ও নুরুল আমিন নামে দুই জেলে সাগরে ডুবে মারা গেছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজারে রেকর্ড ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ১৮টি সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। হাজারো ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। আজ শনিবার বৃষ্টি কমেছে। অন্যদিকে কাদায় দুর্ভোগ বেড়েছে পর্যটক ও স্থানীয়দের।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় জেলে সম্প্রদায়ের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে এবং নিখোঁজ জেলেদের খোঁজাখুজি চলছে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এই বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করছে।
পূর্বকোণ/পারভেজ