আলোচিত কুতুবদিয়া-মগনামা নৌপথ পারাপারে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মানছে না ইজারাদার। প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নতুন ভাড়া আদায় করলেও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের তীর উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এতে ভাড়া কমানোর আনন্দ উপভোগের পরিবর্তে যেন উল্টো ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দ্বীপবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাট পারাপারের এক নৈরাজ্যের দৃশ্য। যাত্রীর ভিড় থাকলেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে যাত্রী পারাপার করছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতি আধঘণ্টায় ডেনিশ বোট ও স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে। অনেকে রোগী নিয়ে জরুরি প্রয়োজনে ঘাট পার হতে পারছে না। এতে চরম ক্ষুব্ধ সাধারণ যাত্রীরা।
তাদের দাবি, ছাত্রদের আন্দোলনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়ায় যাত্রীদের সাথে উল্টো ক্ষোভ দেখাচ্ছে ইজারাদার সিন্ডিকেট। ভাড়া কমানোর কারণে স্পিডবোট বন্ধ রেখেছে। দ্রুত তাদের এ অনিয়মের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার থেকে কুতুবদিয়া ফেরার পথে পারাপারের অনিয়ম সংস্কারের আন্দোলনে অংশ নেয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর মগনামা জেটিঘাটে ইজারাদার কর্তৃক হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় কুতুবদিয়া (ইউএনও) অফিসের এক কর্মচারীও হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহত শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম দিয়া জানান, গাড়ি থেকে নেমে মগনামা জেটিতে পৌঁছালে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র নিশ্চিত হওয়ায় ইজারাদার সিন্ডিকেটের কয়েকজন লোক তাদের ওপর হামলা চালায়। তবে বিষয়টি জানতে একাধিকবার ইজারাদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী পূর্বকোণকে জানান, প্রশাসন কর্তৃক ভাড়া নির্ধারণের পর থেকে পরিস্থিতি একটু অস্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য কুতুবদিয়ায় দায়িত্বরত নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার, অফিসার ইনচার্জ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টারকে লিখিতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ