কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু হত্যার সাত বছর পর মামলা হয়েছে। মামলায় রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নুরুর পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। নুরুল আলমের স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ফজলে করিম ছাড়াও নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির প্রাক্তন ইনচার্জ এসআই জাবেদ ও নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল মিয়াসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
চিহ্নিত আসামিরা হল- টাইগার নাসের, মো. লিটন, তৈয়ব, ফরিদ, মামুন, আবু জাফর রাশেদ, ইয়ার মোহাম্মদ বাছইন্না, সেকান্দর, জসিম, খালেক, বাবুল, মো. রব্বানি, হাসান মোহাম্মদ নাসির, মো. মোর্শেদ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ রাতে দুইজন পুলিশসহ অন্য আসামিরা নগরীর বাসা থেকে সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে তুলে নেয় নুরুকে। ওইদিন রাতেই তাকে চোখ, মুখ বেঁধে, শারীরিক নির্যাতন ও মাথায় গুলি করে হত্যা করে। পরে বাগোয়ান ইউনিয়নের কর্ণফুলী নদীর তীরে ফেলে যায় তারা। পরদিন ৩০ মার্চ পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ