গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কক্সবাজারে একাধিক হোটেলে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের কলাতলীর একটি রিসোর্টে টাকা গুনে নিচ্ছেন কয়েকজন। এদের মধ্যে রয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহদাত হোসেন রিপনও।
ভিডিওতে দেখা যায়, রিপনসহ একদল যুবক হোটেলের গলিতে টাকা গুনছেন। তবে রিপনের দাবি, তারা হোটেলটিকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়েছিলেন এবং টাকাগুলো দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে উদ্ধার করে হোটেল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আন্দোলনের পর দেশে যে নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছিল, তারই অংশ হিসেবে কক্সবাজারেও অনেক ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদল কখনও এতে জড়িত ছিল না। বরং শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে আমরা নৈরাজ্য প্রতিরোধে কাজ করেছি।
রিপন আরও বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে কয়েকজন হোটেলে চাঁদাবাজি করছে। আমরা গিয়ে দেখি, রাতের অন্ধকারে কয়েকটি গ্রুপ হোটেলের আশপাশে ঘুরছে। আমরা তাদের চিনতাম না। তারপরও আমরা হোটেল রক্ষা করেছি। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের ভূমিকা জানে। আমরা এত বোকা নই যে সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে চাঁদাবাজি করব। আমরা শুধু হোটেলকে রক্ষা করতে চেয়েছিলাম।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই রিপনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আবার রিপনের সমর্থকরা দাবি করছেন, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ