জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লীলা কীর্তন না করার ঘোষণা দিয়েছে চকরিয়া উপজেলা শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ। শোভাযাত্রা আয়োজনের এই টাকা বন্যার্তদের সহায়তায় পাঠাবে সংগঠনটি।
শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে পরিষদের অস্থায়ী অফিসে চকরিয়া উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কার্যকরী কমিটির সদস্যদরা আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক সুভাষ চন্দ্র দাশ, সভাপতি নারায়ণ কান্তি দাশ, কার্যকরী সভাপতি শ্রীদুল রঞ্জন দাশ, সাধারণ সম্পাদক নন্দরাম দাশ, অর্থ সম্পাদক উজ্জল দে (শিমুল), শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী রজতজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক মুকুল কান্তি দাশ, সদস্য সচিব রঞ্জন দাশ (মনু) প্রমুখ।
চকরিয়া উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২৪ বছর ধরে চকরিয়ায় ঝাঁক-জমকভাবে পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী তিথী উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লীলা কীর্তন, আলোচনা সভা, অধিবাস এবং মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠান করে আসছি। কিন্তু দেশের ১১ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খুব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অসহায় জীবনযাপন করছে বানভাসি মানুষ। তাই এসব কিছু বিবেচনা করে এবার মঙ্গল শোভাযাত্রা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাছাড়া কিছু অনুষ্ঠানও কমিয়ে এনেছি। আমরা বাতিক এসব অনুষ্ঠানের অর্থ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী রজতজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সদস্যরা জানান, এই বছর আমরা ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রজতজয়ন্তী উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেজন্য গত তিন মাস থেকে আমরা ছয়দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান সূচি সাজিয়ে ছিলাম। এতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সাধু-সন্ন্যাসী, দেশবরেণ্য শিল্পীদের সংগীত পরিবেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এছাড়া ষোড়শ প্রহরব্যাপী নামকীত্তনের আয়োজন করা হয়েছে।
তবে ২৬ আগস্ট (সোমবার) ভাগবত পাঠ, শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পূজা, ২৭ তারিখ মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস ও ২৮ ও ২৯ আগস্ট যথারীতি ষোড়শ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। এসব অনুষ্ঠানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ