চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

টেকনাফে শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার

টেকনাফ সংবাদদাতা

২০ আগস্ট, ২০২৪ | ১১:১৫ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফ নাফ নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও সাত রোহিঙ্গা নারী-শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে নৌকা ডুবির মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।

 

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জেটি সংলগ্ন এবং হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার নদীতে ভাসমান অবস্থায় এসব মৃতদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

 

মৃতদের মধ্যে চারজন শিশু, একজন নারী এবং দুইজন পুরুষ। মরদেহগুলো উদ্ধারের পর আল-মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সংগঠনের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে দাফন করা হয়।

 

এনজিও কর্মী মাহবুব আলম মিনার বলেন, শাহপরীর দ্বীপ নাফনদী জেটিঘাট এলাকা থেকে পাঁচটি ও হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকা থেকে দুটি লাশ উদ্ধার হয়। লাশগুলো পানিতে ভেসে এসেছিল। গত কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে মর্টারশেল ও শক্তিশালী গ্রেনেড-বোমার বিস্ফোরণ ঘটছে। থেমে থেমে ওপার থেকে মুহূর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। মর্টারশেল, শক্তিশালী গ্রেনেড-বোমার বিস্ফোরণের শব্দে এই পারের বাড়িঘরও কেঁপে উঠছে। এতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত টেকনাফের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছেন। অনেক রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসতে গিয়ে নাফনদীতে ডুবে মারা যায়। আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আজ চার শিশুসহ সাত রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে স্থানীয়ভাবে দাফন করা হয়। এর মধ্যে এক অন্তঃসত্ত্বা এক নারীও ছিলেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা গুলিবিদ্ধ ও নৌকাডুবিতে ২৮৬ জনের লাশ আমরা দাফন করেছি।

 

স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের মুখে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছেন রোহিঙ্গারা। সোমবার রোহিঙ্গা বহনকারী একটি নৌকা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে নাফ নদীতে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়। ধারণা করছি, আজকে উদ্ধার হওয়া লাশগুলো ওই নৌকাডুবির ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

টেকনাফ-২ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, নাফ নদীতে কয়েকজন রোহিঙ্গার লাশ ভেসে এসেছে। সেগুলো স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে দাফন করেছেন।

 

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গনি জানান, উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জেটি সংলগ্ন এবং হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকা থেকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদের মধ্যে চারজন শিশু, একজন নারী এবং দুইজন পুরুষ। মৃতদেহগুলো উদ্ধারের পর স্থানীয়ভাবে দাফন করা হয়। এর আগে গত ৬ আগস্ট নৌকাডুবির ঘটনায় নাফ নদী ও সাগরে ভাসমান ৫৪ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।

 

পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট