কক্সবাজারের টেকনাফে সশস্ত্র হামলা ও হুমকির অভিযোগে টেকনাফ সরকারি কলেজের ছাত্র সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরওয়ার আলমকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০-৪০ জনকে আজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে প্রধান অভিযুক্ত সরওয়ার আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি সোমবার (১৯ আগস্ট) অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাদী অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, গত ১৮ জুলাই আমরা ছাত্র-জনতা টেকনাফ পৌরসভা ঝর্ণা চত্বরে রাস্তার পাশে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে অভিযুক্তরা কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে আমাদেরকে মারধর করে ও মামলা ভয় দেখিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে বাধা দেয়। তার প্রতিবাদে আমরা পৌরসভা ঝর্ণা চত্বরে ৪ আগস্ট প্রতিবাদ কর্মসূচির তারিখ ঘোষণা করি। কিন্তু বিবাদীরা ৩ আগস্ট টেকনাফ আওয়ামী লীগ অফিসে সভা ডেকে স্বৈরাচার শাসকের দোসর বিতর্কিত সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ এবং টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম বাহাদুরসহ অনেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। ৫ আগস্ট আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, শান্তসহ আরো অনেক শহীদদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা ছাত্রজনতা স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে মিছিল সহকারে টেকনাফ ঝর্ণা চত্বরে অবস্থান নিলে বিবাদীগণসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমাদের আন্দোলনকে প্রতিহত করার প্রচেষ্টায় আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে টেকনাফ পৌরসভা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করে।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ