কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা এলাকার আল হেরা হোটেলে রবিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় একব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, তার শরীরে ইঞ্জেকশন এবং মারধরের চিহ্ন রয়েছে। ফলে হত্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হোটেল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে ওই ব্যক্তি রহিমা আকতার নামে এক মহিলার সঙ্গে হোটেলের ৩২৫ নম্বর কক্ষে উঠেন।
পরদিন আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে হোটেল কর্মচারীরা কক্ষ পরিষ্কার করতে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পান। নিহত ব্যক্তিকে মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি ঈদগাঁও সাতঘরিয়া পাড়ার বাসিন্দা।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মসিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের পরিবারের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও রুম থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করে বিজ্ঞানাগারে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাসে কক্সবাজারে হোটেলে অচেনা একাধিক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনো যোগ আছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
এই ধরনের ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব কতটা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রাহকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোটেল কর্তৃপক্ষের প্রধান দায়িত্ব। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তাদের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।
পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/পারভেজ