কক্সবাজারের পেকুয়ার শিলখালী ইউনিয়নের সেগুনবাগিচা এলাকায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ আগস্ট) ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- প্রবাসী সরওয়ার কামালের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪০), মেয়ে ময়না (১২) ও নাতনি মাহি (৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলে পাহাড় ধসে বাডির উপরে পড়ে। তখন সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। দ্রুত সবাই ওই ঘরের বাসিন্দাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করে। পরে সকাল ৮টার দিকে পেকুয়া ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসে। তবে এর আগে স্থানীয়রা নিহতদের উদ্ধার করে।
শিলখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুসাইন বলেন, আজ ভোররাতে পাহাড়ের মাটি সেমিপাকা ঘরের উপর পড়ে। সকালে স্থানীয় লোকজন তিনজনকে মাটিচাপা অবস্থায় দেখতে পান। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, আমি ভোরে পাহাড় ধসে তিনজনের মুত্যুর খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। ধারণা করা হচ্ছে- ঘুমন্ত অবস্থায় মাটিচাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আমিন বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এ রকম ভারী বর্ষণ হলে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সতর্ক করা।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, সকালে শিলখালীতে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এর আগেও প্রচুর বৃষ্টিপাত যখন হয়েছিল তখন পাহাড়ের পাশে বসবাসরত সবাইকে সতর্ক থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু দুইদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে সতর্ক না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ