কালুরঘাট সেতুতে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যান চলাচলের জন্য উপযোগী করা হয়েছে সেতুটি। এছাড়া চলতি মাসেই সংস্কার কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ১ আগস্ট কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। এ কাজের জন্য সেতুতে যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ এক বছর ধরে ফেরি দিয়ে কর্ণফুলী নদী পারাপার করছে যানবাহন। এতে সঙ্গী হয় ভোগান্তি। প্রায় ঘটে দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানিসহ আহত হন অনেকেই।
সেতুতে যুক্ত হওয়া ওয়াকওয়ে গত ঈদুল আজহার সময় পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে কিছুটা স্বস্তি আসে জনমনে। ফেরি পারাপারের দুর্ভোগ এড়াতে মানুষজন পায়ে হেঁটে সেতু পারাপার করছেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত পূর্বকোণকে বলেন, সেতুর কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ। আন্দোলন-সহিংসতার কারণে সংস্কার কাজে বিলম্ব হয়েছে। এই মাসেই সংস্কার কাজ শেষ হবে।
তবে যান চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্তের বিষয়ে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন এই প্রকৌশলী।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চলাচলের জন্য জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুটি সংস্কার অপরিহার্য হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের পরামর্শে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি সংস্কার কাজে হাত দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সংস্কার কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্র্যাস্ট্রাকচার লিমিটেড।
১৯৩০ সালে নির্মিত কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুটি এর আগে ১৯৮৬-৮৭ এবং ২০০৪-০৫ সালে দুই দফায় সেতুর সংস্কার হয়। তখন সেতুর ওপরের পাটাতন পরিবর্তন করে নতুন করে রেললাইন বসানো হয়েছিল। ডিসেম্বরে প্রথম ধাপের সংস্কারের পর সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
পূর্বকোণ/এসএ