চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

চবিতে আন্দোলনকারীদের মারধর করল ছাত্রলীগ, আহত ৬

চবি প্রতিনিধি

১৫ জুলাই, ২০২৪ | ৬:৪১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফিকে মারধর করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত রাফি প্রক্টরের হেফাজতে রয়েছেন।

 

সোমবার (১৪ জুলাই) আড়াইটার শাটল ট্রেন শহরে যেতে গেলে  বন্ধ করে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা কোটা আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফিকে আটকে রেখে জেরা শুরু করে। এক পর্যায়ে তাকে চড় থাপ্পড় দিয়ে মিছিলসহ প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। রাফিকে প্রক্টর অফিসে ছাত্রলীগ নিয়ে যাচ্ছে এমন খবর শুনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কয়েকজন প্রক্টর অফিসের দিকে আসতে থাকে। এক পর্যায়ে শহীদ মিনারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দলোনের কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এক আন্দোলনকারীকে ব্যাট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় প্রক্টর অফিসে রাফির বিরুদ্ধে কোটা আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ আনেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা রাফির মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে ভর্তি বাতিলের দাবি জানান।

 

প্রক্টর অফিসে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, কোটা আন্দোলন আমরাও সমর্থন করেছিলাম। আমরা যৌক্তিক সংস্কার চেয়েছি। কিন্তু তারা কালকে নিজেদের রাজাকার দাবি করে স্লোগান দিয়েছে। আমরা চবি ক্যাম্পাসে কোন রাজাকার বরদাস্ত করবো না।

 

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ প্রতিম বড়ুয়া বলেন, আমরা হামলা সমর্থন করি না। কেউ যদি অতি উৎসাহী হয়ে হামলা করে আমরা প্রমাণ পাই তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

রাফিকে উদ্ধার করতে আসা এক ছাত্রী বলেন, আমরা যৌক্তিক আন্দোলন করতে এসেছি। কিন্তু আমাদের ভাইকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের কয়েকজন আন্দোলনকারীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রক্টর উপাচার্যরা আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

 

ভুক্তভোগী রাফি বলেন, গণতন্ত্রের দেশের একজন নাগরিককে কেউ জোর করে তুলে আনতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

 

চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম আন্দোলনকারীদের বলেন, আমাদেরকে ইউজিসি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীরা আদালতের রায় মেনে যেন ক্লাসে ফিরে যায়। তোমরা যৌক্তিক দাবিতে আদালতে আইনি লড়াই করবে। কিন্তু ভোগান্তি সৃষ্টি করে কোন আন্দোলন যেন শিক্ষার্থীরা না করে। যদি তোমরা আদালতের রায় মেনে নাও তাহলে আমরা তোমাদের পাশে আছি। অন্যথায় আমরা তোমাদের পাশে নেই।

 

ছাত্রলীগের হামলাকারীদের ব্যাপারে প্রক্টর বলেন, কারা হামলা করেছে আমরা জানি না। যদি কোন লিখিত অভিযোগ আসে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

 

 

পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট