চট্টগ্রাম সোমবার, ০১ জুলাই, ২০২৪

পেকুয়ায় অটোরিকশা শ্রমিকদের দু’পক্ষে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৬

পেকুয়া সংবাদদাতা

২৮ জুন, ২০২৪ | ৮:৩২ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় চারজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।

 

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকাল ৩টার দিকে পেকুয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

 

গুলিবিদ্ধরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়ন শেখেরকিল্লাঘোনা এলাকার বদিউল আলমের ছেলে আবদুল কুদ্দুস মনু (৪০), পূর্ব গোঁয়াখালী এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নয়ন (২৩), আন্নর আলী মাতবর পাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে নেজাম উদ্দিন (৪৫) ও একই এলাকার শওকত হোসেন (২২)।

 

হামলায় আহতরা হলেন, মিয়াপাড়া এলাকার নুরুল হোসেনের ছেলে মোজাম্মেল ( ৩০) ও পূর্ব গোঁয়াখালী এলাকার আনছার উদ্দিনের ছেলে আতিক আহমদ (২৪)। আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

জানা গেছে, সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠন নিয়ে পেকুয়ায় দুটি গ্রুপের মধ্যে সম্প্রতি দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। আধিপত্য বিস্তার ও টিকিট কাউন্টার দখল বেদখল নিয়ে মূলত তাদের এ বিরোধ। একটি পক্ষের নেতৃত্বে দিয়ে আসছিল নাছির উদ্দিন ও মো. বারেক। তারা দীর্ঘ এক যুগ ধরে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি মো. রফিক ও রফিকুল ইসলাম সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব জানান দেয়। দুই রফিকের নেতৃত্বে শ্রমিকরা গত কিছুদিন আগে উপজেলার নয়টি টিকিট কাউন্টার দখলে নেয়।

 

এদিকে আধিপত্য ও কাউন্টার দখল বেদখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

 

সিএনজি অটোরিকশা সংগঠনের পেকুয়ার সভাপতি মো. রফিক বলেন, শ্রমিক পরিচয় দিয়ে একযুগ ধরে একটি সিন্ডিকেট চাঁদাবাজিতে মেতেছিল। তারা শ্রমিকের রক্তচুষে খেয়েছে। কিছুদিন আগে প্রকৃত শ্রমিকরা তাদের বিতাড়িত করে। আজ সকালে ১০-১৫ জনের অস্ত্রধারী পেকুয়া বাজারে এসে লাইনম্যানদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে দুটি কাউন্টারে টোকেন দেওয়া শুরু করে। জুমার নামাজের পরে ফের বাজারে এসে তারা ত্রাস সৃষ্টি করে। এ সময় শ্রমিকরা বাধা দিলে তাদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।

 

এদিকে সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাজার এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি বর্ষণের ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ ছিল। মানুষের মধ্যে আতংক ও ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। পরে পেকুয়া থানা পুলিশ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

 

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।

 

 

পূর্বকোণ/এমরান/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট