সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বান্দরবানের থানচি উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এর মধ্যে রয়েছে তমা তুঙ্গী, ডিম পাহাড়, বড় পাথর, রেমাক্রি, কুমারী ঝর্ণাসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
শনিবার (২২ জুন) স্থানীয় প্রশাসনের সাথে নিরাপত্তা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন।
তিনি জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক অবস্থা ও পর্যটন শিল্পের বিকাশের চিন্তা করে এসব পর্যটনকেন্দ্র আপাতত খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তার কারণে তমা তুঙ্গীর পর নাফাখুমে কোন পর্যটককে আপাতত যেতে দেওয়া হবে না। তবে অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। গত দুই ও তিন এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় কেএনএফ সদস্যরা হামলা চালিয়ে ১৪টি অস্ত্র ও প্রায় ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকেও অপহরণ করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বান্দরবানের রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অপারেশন চলছে। এ পর্যন্ত এই অভিযানে কেএনএফের সাতজন নিহত ও শতাধিক সদস্য আটক হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে তিনটি উপজেলায় বন্ধ করা দেয়া হয় পর্যটকদের যাতায়াত।
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হলেও রুমা ও রোয়াংছড়িতে এখনো পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছে বান্দরবানের পর্যটন শিল্প।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ