চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিক্ষকের বেদম প্রহারে নষ্ট ছাত্রের চোখ, শিক্ষক আটক

লোহাগাড়া সংবাদদাতা

১০ জুন, ২০২৪ | ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের তানজিনুল মুমিন হেফজখানার ছাত্র আবদুল্লাহ আল মুহিত (১৩)। বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হরিদার ঘোনার প্রবাসী জসিম উদ্দীনের ছেলে মুহিত।

 

অভিযুক্ত মো. আবদুল্লাহ (২৮) ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক। তিনি চুনতি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাটখোলা মুড়ার মৃত বশির আহমদের ছেলে।

 

উক্ত শিক্ষক ছাত্র আবদুল্লাহ আল মুহিতকে গত (২৬ মে) সকাল ৬টায় বেদম মারধর করে তার একটি চোখ নষ্ট করে দেন। এ ব্যাপারে ছাত্রের মা রেনু আক্তার বাদি হয়ে উক্ত শিক্ষককের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগটি থানায় নিয়মিত মামলায় রুজু হয়।

 

মামলার বিবরণে প্রকাশ, বাদি রেনু আক্তার তার ছেলে আবদুল্লাহ আল মুহিতকে তিনমাস আগে কোরআন শিক্ষার জন্য উক্ত মাদ্রাসায় ভর্তি করান। এরপর থেকে শিক্ষক মো. আবদুল্লাহ কারণে-অকারণে ওই ছাত্রকে মারধর করতে থাকেন। মা এ কথা শুনার পর উক্ত শিক্ষককে বেশ কয়েকবার ওইভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীকে না মারার জন্য অনুরোধ করেছেন। এতে মাদ্রাসার ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্র ঘুমাচ্ছে বলে অজুহাত দেখিয়ে অতর্কিত অবস্থায় কোরআন শরীফ রাখার প্লাস্টিকের রেয়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করেন। একপর্যায়ে রেয়ালের আঘাতে বাদির ছেলের ডান চোখে গুরুতর জখম হলে চোখটি নষ্ট হয়ে যায়।

 

পরবর্তীতে মামলার আসামি শিক্ষক মো. আবদুল্লাহ মামলার বাদিকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে বলে বাদি এজেহারে উল্লেখ করেছেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেছেন, ছেলের চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে মামলাটি দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে। তিনি আশংকা করছেন, তার ছেলের চোখ আর ভালো হবে না।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আলম জানান, আহত ছাত্রের মা থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে ওই হেফজখানার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

 

পূর্বকোণ/মনির/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট