চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে একই স্থানে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভা ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার বন্দর সেন্টার এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
দলীয় সূত্র জানায়, বাজেট ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পৃথক আনন্দমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে। বিকেলের দিকে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা তিনটার পর সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন তারা। ওই সময় তারা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, পরে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ওই সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অনুসারী ও আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নানসহ নেতা-কর্মীরা পাশের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে যান। ঘটনার পর সিইউএফএল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ওই সময় দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অনুসারী ও আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী দাবি করেন যে আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নান চৌধুরী, বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, চাতরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তাজ উদ্দিন ও তিনি আহত হয়েছেন।
জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি দিলেও প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটান।’
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা গতকাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। তারা আজ আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করার জন্য এ কর্মসূচি ডাকেন। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা টিপু আহত হয়েছেন। কর্ণফুলী থানার ওসির উসকানিতে এ ঘটনা ঘটে।’
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, বাজেট নিয়ে আনন্দমিছিলের আয়োজন করে দুই পক্ষ। পরে সংঘর্ষে জড়ালে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, দুই পক্ষকে আগে–পরে সময় করে মিছিল করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা একসঙ্গে জড়ো হয়।
পূর্বকোণ/সুমন/জেইউ/পারভেজ