কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল এলাকায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭৩ ভরি দেশি-বিদেশি স্বর্ণ ও নগদ ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দিন-দুপুরে খুরুশকুল-চৌফলদন্ডি সড়কের লমাজিপাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে এই লুটের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের রাউজানের দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গতিরোধ করে ছুরি ও অস্ত্রের মুখে মুহূতেই ব্যাগে থাকা ৭৩ ভরি দেশি-বিদেশি স্বর্ণ ও নগদ ২ লাখ ১৫ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় মেহেদী পাড়ার কিছু ছিনতাইকারী। এ সময় ছিনতাইকারীরা মারধর করে আহত করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের।
যদিও ঘটনার পর পুলিশ ও র্যাব গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ তাদের গাড়ি গতিরোধ করে মারধর ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে লমাজিপাড়ার ভেতরে সড়ক হয়ে পালিয়ে যায় ৭-৮ জন ছিনতাইকারী। তাদের ধারণা পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্বল্প সময়ের মাঝে তাদের কাছ থেকে এই স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী রুবেল কান্তি নাথ বলেন, আমরা প্রায় ৫ বছর ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে পাইকারি দেশি-বিদেশি স্বর্ণ সরবরাহ করছি। দুপুর ১টার দিকে গ্রামীণ ব্যাংকের মোড়ে প্রথমে ৭-৮ জন এসে আমাদের বেধড়ক মারধর করে। পরে ছুরি ও অস্ত্র দেখিয়ে স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়। ঈদের আগে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে অর্ডার থাকায় আমরা এতোবেশি স্বর্ণ নিয়ে এসেছিলাম। এমন ঘটনা হবে জীবনেও কল্পনা করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে বলে শুনেছি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বলেন, যাদের থেকে ৭৩ ভরি স্বর্ণ লুট করা হয়েছে তারা আদৌও স্বর্ণ ব্যবসায়ী কিনা সেটি যাচাই-বাছাই চলছে। সেইসাথে তাদের নিজ বাড়ি রাউজানে সেখানের পুলিশের সহায়তা নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া তাদের পক্ষ থেকে আমরা এখনও কোন অভিযোগ পায়নি। তবে পুলিশের তদন্ত চলছে আর লুটকারীদের বিরুদ্ধে কোন তথ্য পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বকোণ/এরফান/এএইচ