বান্দরবানে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের কী কী সম্পত্তি রয়েছে তার হিসাব দিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে দুদক। বৃহস্পতিবারের (৬ জুন) মধ্যে সম্পত্তির হিসাব ঢাকায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠায় দুদক।
এ নির্দেশনার পর বেনজীরের সম্পত্তির খোঁজ নিতে মাঠে নেমেছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় বেশকিছু জায়গার খোঁজ পেয়েছে প্রশাসন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা থেকে বেনজীর আহমেদের নামে কী কী সম্পত্তি রয়েছে তার খোঁজ দিতে একটি চিঠি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারের (৬ জুন) মধ্যে সম্পত্তির হিসাব ঢাকায় পাঠানোর জন্য ওই চিঠিতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের ভূমি বিভাগ থেকে সবধরনের কাগজপত্র তলব করা হয়েছে। তদন্তের পর বেনজির আহমেদের কী কী সম্পত্তি রয়েছে তার হিসাব ঢাকায় পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, সুয়ালকে সম্পত্তির খোঁজ পেলেও লামার সম্পত্তির বিষয়ে এখনও কোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তবে দ্রুত সব সম্পত্তির হিসাব দুদকে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ র্যাবের মহাপরিচালক থাকাকালীন বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় প্রায় ৭০ একর জায়গা দখলে নিয়ে নেন। সেখানে রাবার হর্টিকালচার লিজ ও মানুষের ক্রয়কৃত জায়গাও রয়েছে। ওই জায়গা দেখিয়ে গতবছর বনবিভাগ থেকে প্রায় ১৪ হাজার ঘনফুট গাছের পারমিট নেন বেনজীর। প্রায় অর্থলক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় গাছ বিক্রি করে। ওই জায়গায় গরু ও মৎস্যখামার, সেই সাথে আলিশান বাংলো করা হয়।
অন্যদিকে, লামার সরই ইউনিয়নেও বেনজীরের আরও শতাধিক একর জায়গার খোঁজ পাওয়া গেছে। সেখানকার ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, তৎকালীন পুলিশের কিছু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের স্থানীয় বেশ কিছু নেতা বেনজীরের নাম ব্যবহার করে প্রচুর সম্পত্তি দখলে নিয়েছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে এসব দখলকৃত জায়গা-জমি ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
পূর্বকোণ/মাহমুদ