চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

রাউজানে মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন প্রকল্পের কেন্দ্রীয় কর্মশালায় বক্তারা

হালদার মতো অনন্য বৈশিষ্ট সম্পন্ন নদী বিশ্বে আরেকটি নেই

রাউজান সংবাদদাতা

৪ জুন, ২০২৪ | ১১:০৪ অপরাহ্ণ

হালদার মতো অনন্য বৈশিষ্ট সম্পন্ন নদী বিশ্বে আরেকটি নেই হালদা বাঁচলে হালদা পাড়ের মানুষ বাঁচবে। হালদা নদীর ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সকলকে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। হালদা রক্ষায় সরকার সবকিছু করছে।

 

চট্টগ্রামের রাউজানে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর পাড়ে এসে মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ, হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (২য় পর্যায়), মৎস্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম শীর্ষক প্রকল্পের কেন্দ্রীয় কর্মশালায় (প্রারম্ভিক) বক্তারা এসব মন্তব্য করেন।

 

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে রাউজান উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ কর্মশালায় অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার।

 

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ আলমগীর, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন খান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেসানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ ও রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা।

 

চন্দনাইশ সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসান আহসানুনের সঞ্চালনায় ফজলে করিম এমপি বলেন, হালদার একেকটি মাছ কোটি টাকার সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষায় হালদার রাউজান অংশে কঠোর ভূমিকা রাখছি। ৯৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য হালদা নদীতে ৬০টির বেশি হ্যাচারি প্রয়োজন। হালদা প্রতিবছর পর্যাপ্ত মা মাছ ছাড়লে ডিম দেয়া বৃদ্ধি পাবে। হালদা দুষণরোধসহ নানা কার্যকর পদক্ষেপ নিলে হালদার সুফল মিলবে।

 

তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে হালদা রক্ষায় কাজ করছি। এ পর্যন্ত হালদা থেকে উদ্ধার হওয়া জাল আমি পুড়িয়েছি। রাউজানে কেউ মাছ মারার চেষ্টা করলে আমরা তাকে কঠোর শাস্তি দিচ্ছি।

 

প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, হালদা নদী নিজস্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন নদী। হালদা নদীর মতো আরেকটি বিশ্বে নেই। হালদা নদীর সাথে বঙ্গবন্ধু নাম জড়িত। এ নদী রক্ষায় যে যেখানে আছে, সেখান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনার রিদুয়ানুল ইসলাম, রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, হাটহাজারীর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফারুক মহেদুজ্জামান, সহকারী হ্যাচারি অফিসার আবুল কালাম আজাদ, নাজমুল হুদা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোরশেদ ও কাউন্সিলর আলমগীর আলী।

 

অনুষ্ঠানের আগে হালদা নদীর সর্তারঘাটে মোবারকখীল হ্যাচারিতে উৎপাদিত কার্প জাতীয় মাছ অবমুক্ত করা হয়।

 

 

পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট