চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে টাস্ক ফোর্সের অভিযানে উদ্ধার হওয়া দুটি ব্র্যান্ডের সবগুলো সিগারেট নকল বলে প্রমাণিত হয়েছে। সিগারেটগুলো পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার (৪ জুন) দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড গাজীপুর থেকে এগুলো নকল বলে জানানো হয়েছে।
এতে উদ্ধারকৃত সিগারেটগুলোতে অন্তত ১২ লাখ ৪২ হাজার ৮৮০ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুটি ব্রান্ডের সিগারেটের মোড়ক নকল করে একটি চক্র তা বিক্রির মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এই মর্মে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এনএসআই, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালায় সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটঘর এলাকায় হেরিটেজ টোবাকো লিমিটেডের গোডাউনে। এসময় গোডাউন থেকে ব্যান্ডরোল/ স্ট্যাম্পসমূহ নকল সন্দেহে T20 WELL FILTER ও DJAMIL BLACK নামক দুই প্রকারের আনুমানিক ১৭ লাখ ২ হাজার ৫৭৫ টাকার সিগারেট উদ্ধার করে তা আসল না নকল পরীক্ষার জন্য দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লি. গাজীপুর পাঠানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন বলেন, পরীক্ষা শেষে আজ তারা এসব সিগারেট নকল বলে শনাক্ত করেন। এতে বলা হয় এই সিগারেট বিক্রি করে তারা প্রায় ১২ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসব সিগারেটের মোড়ক এত নিখুঁতভাবে নকল করা হয়েছিল যে তা বোঝার উপায় ছিল না। একই মোড়কের আসল সিগারেট বাজারে বিক্রি হয় প্যাকেট ৪৫ টাকা করে। এই টাকার মধ্যে সরকার রাজস্ব পায় ২২ টাকা। কিন্তু নকল প্রস্তুতকারকরা বাজারে এই সিগারেট বিক্রি করছিলো মাত্র ২৫ টাকা প্যাকেটে। ২২ টাকা রাজস্ব দিয়ে ২৫ টাকা প্যাকেট বিক্রি কিছুতেই সম্ভব নয়- এমন ধারণা থেকে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই সিগারেটগুলো নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে জানালে আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গত ২ জুন একটি গোডাউন থেকে এগুলো জব্দ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করি। অবশেষে আজ পরীক্ষায় এগুলো নকল বলে প্রমাণিত হয়েছে।
পূর্বকোণ/সৌমিত্র/জেইউ/পারভেজ