পূর্ব কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউল আলম পান শূন্য ভোট। ১১টি কেন্দ্রে শূন্য ভোট পান তিনি। তিনি মোট ভোট পান ৫ হাজার ৩৬১ ভোট।
শুধু শফি নন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম ও মুক্তিযোদ্ধা বাস্তবায়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামও তিনটি করে কেন্দ্রে কোনো ভোট পাননি। সেলিমের মোট ভোট ৮৩৪ ও নুরুল ইসলামের ৪৭৫ ভোট। আর বিজয়ী প্রার্থী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাহেদুল হক হাজি আজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পান ১৬৪৬ ভোট। এটি উপজেলার সাত প্রার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট। গত বুধবার উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই ধাপে পটিয়া, বোয়ালখালী, আনোয়ারা ও চন্দনাইশ-চার উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া যায়।
চার উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভোটের রেকর্ড পটিয়ায়। কুরাংগিরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৯৫৩ ভোটের মধ্যে বিজয়ী প্রার্থী দিদারুল আলম (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ২১৩৪ ভোট। এটি চার উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট। এই কেন্দ্রে ভোটের হার ৭৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এরমধ্যে দিদার একই পেয়েছেন ৭২ শতাংশ ভোট। আর পরাজিত প্রার্থী হারুনুর রশিদ সবচেয়ে কম ভোট পান শোভনদ-ী স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে ২৫ ভোট পান তিনি।
বোয়ালখালীর ৮৬ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে পশ্চিম গোমদ-ী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরখিজিপুর মিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ২ হাজার ৮৬০ ভোট। ভোট পড়েছে ১ হাজার ৭০৬ ভোট। ভোটের হার ৫৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এই কেন্দ্রে বিজয়ী প্রার্থী জাহেদুল হক পান ১১৫৬ ভোট। উপজেলার ৮টি কেন্দ্রে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এর বেশিরভাগ কেন্দ্রই শাকপুরা ও পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়নে। সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নে। খরণদ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের হার ১৮ দশমিক ২১ শতাংশ।
বোয়ালখালীতে ভোট পড়েছে ৮০ হাজার ৬৪২ ভোট। যা মোট ভোটের ৩৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে হেলিকপ্টার প্রতীকে ৩০ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে মোহাম্মদ জাহেদুল হক নির্বাচিত হন।
চন্দনাইশে ৩ কেন্দ্রে ৫০ শতাংশের বেশি : উপজেলার ৬৮ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে দক্ষিণ পড়েছে হাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৬২৮ জন। ভোট পড়েছে ৯৪৮টি। যা মোট ভোটের ৫৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। এই উপজেলার ৩ কেন্দ্রে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে কানাইমাদারী ইসলামিয়া কাদেরীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ৬৫৩ জন। ভোট দিয়েছেন ৪৭৮ জন। ভোটের হার ১৮ দশমিক ২ শতাংশ।
চন্দনাইশে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬০৭ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৬১ হাজার ৯২১ জন। যা মোট ভোটের ৩২ দশমিক ৩২ শতাংশ। চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৮ হাজার ৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী জসীম উদ্দিন আহমেদ।
সর্বোচ্চ ভোট আনোয়ারায় : উপজেলার ৭৪ কেন্দ্রের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে গুয়াপঞ্চক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ৭৫২ জন। ভোট পড়েছে ১ হাজার ৮২৮ ভোট। ভোটের হার ৬৬ দশমিক ৪২ শতাংশ। উপজেলার ১১টি কেন্দ্রে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এছাড়া সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে ভোটের হার ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আনোয়ারায় ভোটের হার ৪২ দশমিক ২৭ শতাংশ। আনারস প্রতীকে ৫৮ হাজার ৮৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কাজী মোজাম্মেল হক।
পূর্বকোণ/পিআর